আগামী দিনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা যাবে কি না, তার কিছুটা আভাস পাওয়া যেতে পারে মঙ্গলবারের বৈঠকের পর। বোর্ডের আগামী নির্বাচনে লড়াই করা নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি সৌরভ। ভারতের সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ অবশ্য তাঁকেই আবার বিসিসিআই সভাপতির মসনদে দেখতে চান। যদিও সৌরভের বোর্ড সভাপতি হিসাবে আগামী দিনেও কাজ চালিয়ে যাওয়া নির্ভর করবে বেশ কয়েকটি সমীকরণের উপর। নির্বাচনে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর পক্ষে কোন পদে কে প্রার্থী হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে মঙ্গলবারের বৈঠকে।
অন্যদিকে, রিমুভ এটিকে (Remove ATK) আন্দোলন এবার সৃঞ্জয় বসু (Srinjoy Bose)-দেবাশিস দত্ত (Debashis Dutta) কাজিয়া প্রকাশ্যে চলে এল। এতদিন সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল যাবতীয় বিপ্লব। তবে এবার সবুজ-মেরুনের দুই শীর্ষ কর্তার ঝামেলা সবার সামনে চলে এল। ক্লাবের প্রেস বিবৃতি এবং এর জেরে সৃঞ্জয়ের পালটা প্রেস বিবৃতিতে সরগরম ময়দান। সোমবার আইএসএল অভিযান শুরু করেই ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের হারের মুখ দেখেছে এটিকে মোহনবাগান। চেন্নাইয়ন এফসি-র কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছে সবুজ-মেরুন। এমন অবস্থায় সৃঞ্জয়-দেবাশিসের কাজিয়া অন্য মাত্রা যোগ করল। রবিবার মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্তর বাড়ির সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন একঝাঁক সবুজ-মেরুন সমর্থক। চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তা নিয়েই জোর কোন্দল শুরু হয়ে গেল বাগানের অন্দরমহলে। মোহনবাগানের তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, এটিকের (ATK) সঙ্গে মোহনবাগানের সংযুক্তিকরণের সময় ক্লাবের সচিব ছিলেন না দেবাশিস। সেই প্রেস বিবৃতিতে পরিষ্কার ছিল যে, প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর বল ঠেলে দিয়ছেন বর্তমান প্রশাসকরা। তবে চুপ করে থাকেননি সৃঞ্জয়। তিনিও পালটা প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটালেন।