নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড মেনে নিয়েছেন, দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ছাড়া মাঠে নামা কঠিন। যদিও তিনি বলেছেন, ‘‘গত অগস্টে বোল্ট চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই আমরা বলেছিলাম, কেন্দ্রীয় বা ঘরোয়া চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সেটাই করা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি বোল্ট বিশ্বমানের জোরে বোলার। ওর যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। আমরা আসলে সামনের দিকে তাকাতে চাইছি। অন্য ক্রিকেটারদেরও খেলার এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিতে চাই আমরা।’’ গাপ্টিলকে দলে না রাখা নিয়ে উইলিয়ামসনদের কোচ বলেছেন, ‘‘ঘরোয়া সাদা বলের ক্রিকেটে অ্যালেন দারুণ সফল। ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে ওকে সুযোগ দেওয়ার জন্য গাপ্টিলকে রাখা হয়নি। এক দিনের বিশ্বকাপের আগে হাতে এক বছর সময়ও নেই। অ্যালেনকে যত বেশি সম্ভব সুযোগ দিতে চাই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। বিশেষ করে ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমরা অ্যালেনকে খেলাতে চাই।’’
অন্যদিকে, কামিন্স ট্যুইটারে 'আগামী বছর আইপিএল না খেলার কঠিন সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি। আগামী ১২ মাস টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে ঠাসা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচি। অ্যাশেজ ও বিশ্বকাপের আগে আমাকে বিশ্রাম নিতে হবে। আশা করি কেকেআর বুঝবে। অসাধারণ সব প্লেয়ারদের নিয়ে এই দল। আশা করি আমি দ্রুত ফিরে আসব।' কামিন্স যে খেলতে পারবেন না তার আগাম আভাস ছিল কেকেআরের কাছে। সেজন্যই শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে জাতীয় দলের পেসার শার্দুল ঠাকুরকে ট্রেড করেছে। ২০২২ সালের আইপিএল-এর মেগা নিলামে ১০ কোটি ৭৫ হাজার টাকায় কিনেছিল শার্দূলকে কিনেছিল দিল্লি। ১৪ ম্যাচে ১৫ উইকেট শার্দূল নিলেও, তাঁর টাকা বাঁচাতে চেয়েছিল। তাই তাঁকে দিল্লি ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁকে ট্রেড করল কলকাতা। কামিন্স না খেলায় তাঁর .২৫ কোটি টাকা কলকাতার কাছেই থেকে গেল।