ম্যাচটা খাতায়-কলমে ম্যাচটা আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডসের হলেও, মঞ্চের পিছনে একটা অন্য লড়াই অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। লিওনেল মেসি বনাম বিপক্ষের হাই প্রোফাইল কোচ লুইস ভ্যান গালের মধ্যে 'ইগো'-র লড়াই। অবশ্য যুদ্ধের শুরু মোটেও মেসির তরফ থেকে হয়নি। বরং হাই ভোল্টেজ কোয়ার্টার ফাইনালের আগে আগুনে ঘি ঢালার কাজটা করেছিলেন ক্যানসার সারিয়ে মাঠে ফিরে আসা বিপক্ষের ৭১ বছরের কোচ। তবে শেষ হাসি হাসল মেসিই। নেদারল্যান্ডসে টাই ব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দিল নীল-সাদা ব্রিগেড।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা আরও দু’বার নেদারল্যান্ডসের গোলের কাছে পৌঁছে যায়। মেসির ডান পায়ের শট গোলরক্ষক আটকে দেন। অন্য দিকে প্রথমার্ধের শেষ দিকে তিনটি ফ্রিকিক পায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেখান থেকে ফসল তুলতে পারেনি তারা। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে সাজঘরে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিলেন গাকপোরা। কিন্তু আর্জেন্টিনার বক্সে সে রকম বিপদ তৈরি হয়নি। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খেলায় ফেরে আর্জেন্টিনা। মেসির পায়ে বেশ কয়েক বার বিপদ তৈরি হয় নেদারল্যান্ডসের বক্সে। মেসির পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ম্যাক অ্যালিস্টার। ৬৩ মিনিটের মাথায় ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। ৭১ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে আকুনাকে ফাউল করেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফস্কালেও এ বার গোল করতে ভুল করেননি মেসি। গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ২-০ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়ায়।