সেলিম দুরানিকে স্মরণ আইপিএলে
আফগানিস্তানে কাবুল শহরে ১৯৩৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জন্ম হয় সেলিমের। তবে বড়ো হেয়েছেন গুজরাতের জামনগরেই। সেখানে তাঁর ক্রিকেট শেখা। এরপর ১৯৬০ সালে ভারতের জার্সি পরে খেলার সুযোগ পান সেলিম দুরানি। জাতীয় দলের হয়ে ১৯৭৩ পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। দেশের প্রথম অর্জুন পুরষ্কার ভারতীয় এই প্রাক্তন অলরাউন্ডারের হাতেই উঠেছিল।
প্রসঙ্গত, প্রথম ম্যাচেই রাজাস্থান রয়্যালসের কাছে হারল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টসে জিতেও ২০৩ রানের নাগাল পেলেন না ভুবনেশ্বর কুমাররা। আট উইকেটে হারিয়ে ২০ ওভারে মাত্র ১৩১ রান করতে পারল হায়দরাবাদ। বাটলার-যশস্বী জুটি অচিরেই প্রতিপক্ষের বোলারদের শিরদাঁড়া ভেঙে দেন।
সময় নষ্ট না করে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মরক ব্যাটিং শুরু করেন রাজস্থানের দুই ওপেনার যস বাটলার এবং যশস্বী জয়সওয়াল। হায়দরাবাদের সব বোলারকেই তাঁদের কাছে নত হতে হয়। মাত্র ২০ বলে অর্ধশতরান করে ফেলেন বাটলার। তবে এরপরেই ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ২২ বলে ৫৪ রানেরল দুর্দান্ত ইনিংস খেলে প্যাভেলিয়ানে ফিরে যেতে হয়। তবে রানের চাকা তখনো থামেনি রাজস্থানের।
বাটলারের পর অর্ধশতরান করেন যশস্বী। ১২ ওভারের মাথায় তিনিও আউট হয়ে যান। এরপরই প্রথম বলে উমরান মালিক নেন তিন নম্বর উইকেটটি। এক সময় মনে হচ্ছিল রাজস্থানের রান ২৫০ ছাড়িয়ে যাবে। তবে দুই ওপেনার আউট হওয়ায় রানের গতি কিছুটা হলেও কমে যায়। অবশেষ পাঁচ উইকেটে ২০৩ রানে পৌঁছয় রাজস্থান। অধিনায়ক সঞ্জু ব্যাটে আসে ২৪ রান।
টসে জিতে এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামিয়েও ম্যাচ জিততে পারল হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা পায় তারা। ট্রেন্ট বোল্ডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান ওপেনার অভিষেক শর্মা। পাওয়ার প্লে-তে হারিয়ে মাত্র ৩০ রান করন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। তখনই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দল। ১৫ ওভাপরের মধ্যেই ৭ উইকেট পড়ে যায় তাদের। শেষদিকে আবদুল সামাদ এবং উমরান মালিকের চার, ছয়ের বন্যা দেখা গেলেও, ৭২ রানের ব্যবধানে হারল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।