পাল্লা ভারী মোহবাগানের
গোকুলামের বিরুদ্ধে লিস্টন কোলাসোর ফর্ম ফিরেছে। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন তিনি। কোলাসো বলেছেন, “ অনেক আত্মবিশ্বাসী লাগছে, বহু দিন পর একটা ম্যাচে জোড়া গোল করতে পেরে। পরের ম্যাচগুলোতেও এইভাবেই গোল করতে চাই।” অন্যদিকে বুমোস জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী দল হিসেবেই দেখছে মোহনবাগান। সেট পিস থেকে যেকোনও মুহূর্ত গোল করতে পারে জামশেদপুর। ফলত সেই দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা।
এদিনের ম্যাচে যে দল জিতবে গ্রুপ-সির লিগ টেবিলের শীর্ষে তারাই থাকবে। এর পাশাপাশি বিজয়ী দল সেমি ফাইনালের আরও কাছে চলে যাবে। এই গোকুলামের কাছে এএফসি কাপে হেরেছিল মোহনবাগান। তাই প্রথম ম্যাচ জিতে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গেছেন ফুটবলাররা। দুই দলই প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলকে উড়িয়ে ম্যাচ জিতেছে। এখন দেখার শুক্রবারের রাতে কী রেজাল্ট হয়। কেরলের কোঝিকোড় স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে ৮টা থেকে এই ম্যাচ শুর হতে চলেছে। মোহবাগানের পরবর্তী ম্যাচ ১৮ এপ্রিল, প্রতিপক্ষ দল এফসি গোয়া।
উল্লেখ্য, বিরতির আগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে পারল না ইস্ট বেঙ্গল। মরসুম প্রায় শেষ হতে চলল এখনও ইস্ট বেঙ্গলের ডিফেন্সের রোগ সারল না। সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে ওড়িশা এফ সি-র বিরুদ্ধে প্রথমার্দ্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকেও বিরতির পর গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে ইস্ট বেঙ্গলের জুটেছিল মাত্র এক পয়েন্ট। আর বৃহস্পতিবার কেরল মাঞ্জেরি স্টেডিয়ামে শক্তিশালী হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে না পেরে জুটল সেই এক পয়েন্ট। সব মিলিয়ে দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট। হায়দরাবাদের দুই ম্যাচে হল চার পয়েন্ট। ওড়িশা এফ সি-রও দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট। এদিন তারা ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে আইজল এফ সিকে। তাই সোমবার বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে দুর্বল আইজলকে হারালেও ইস্ট বেঙ্গলের পক্ষে মনে হয় সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব হবে না। হায়দরাবাদ এবং ওড়িশার মধ্যে কোনও টিমই সেমিফাইনালে যাবে। এর জন্য দায়ী লাল হলুদের প্লেয়াররাই ম্যাচ জেতার সোনার সুযোগ হারালে এই দশা তো হবেই।