আমরাই হেরে গিয়েছি, বলছেন ব্রায়ান
লারার মতে, কেকেআর তাঁর দলকে হারায়নি, তাঁরা নিজেরাই হেরেছেন। কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান ব্যাটার বলেন, পাওয়ার প্লে-তে আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি, যার প্রভাব পড়বেই। কঠিন দায়িত্ব পূরণ করতে আবার সেই ক্লাসেনের মুখাপেক্ষী হয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের পার্টনারশিপকে আরও একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবং ম্যাচে ঘটছে সেটা বুঝতে হবে।
কেকেআর স্পিনারদের প্রশংসা করলেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের ব্যাটারদেরই দোষ দেখছেন লারা। তিনি বলেন, সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীরা বিশ্বমানের বোলার। আমি বলব না যে আমাদের ব্যাটারদের স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা রয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের এই ম্যাচটা জেতার কথা ছিল, কেকেআর আমাদের হারায়নি, আমরা হেরে গিয়েছি।
কেকেআরের জন্য এ ম্যাচে একটা বাড়তি মোটিভেশন ছিল। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) এসে কলকাতাকে হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। সে ম্যাচে নাইট শিবিরের বোলারদের বেধড়ক ঠেঙিয়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক (Harry Brook)। ৫৫ বলে অপরাজিত ১০০ করেছিলেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করে এসআরএইচ করেছিল ২২৮। এদিন শূন্য রানে আউট ব্রুক। ইডেনে নীতীশ রানা আর রিঙ্কু সিং রান করেছিলেন, এদিন আবার তাঁদের ব্যাট চলল। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত ছিলেন।
তবে দুঃখের বিষয়, এই ম্যাচ ভাগ্যক্রমে জিতলেও কলকাতার ভবিষ্যৎ খুবই দুর্বল। আর চারটে ম্যাচ বাকি আছে, সেই চারটের চারটেই জিততে হবে। কিন্তু কলকাতার যেটার সবথেকে অভাব তা হল ধারাবাহিকতা। তার সঙ্গে রয়েছে জঘন্য অধিনায়কত্ব। একটা জিনিস স্পষ্ট, নীতীশ রানা যতই ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করুন, আইপিএলে নেতৃত্ব তাঁর জন্য নয়। কোন বোলারকে কখন কাজে লাগাতে হবে তার বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই। অনুকূল রায়ের ওভারে হ্যারি ব্রুক আউট হলেন, তারপর মাঝের ওভারে স্পিনারদের নিয়মিত বলই করালেন না। স্পিনারদের নিয়ে যেন মিউজিক্যাল চেয়ার খেললেন।