মালিঙ্গার কার্বন কপি
২০১৯ সালের ওই হারের এক বছর পরেই পাথিরানার ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে পায় চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট। ডান-হাতি পেসার তখন স্কুল ক্রিকেট খেলছেন। ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য বলেন, পাথিরানাকে দেখে ‘র’ মনে হয়েছিল তবে গতি ছিল। আমরা ওকে নেট বোলার হিসেবে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড অনুমতি দেয়নি।
একটু উদ্ভট অ্যাকশনের ভালো বোলার ধোনির বরাবরের পছন্দ, তাই আশা ছেড়ে দেয়নি সিএসকে। তারা নজর রেখে যাচ্ছিল মালিঙ্গার উত্তরসূরির উপর। এদিকে পাথিরানা তখন তাঁর স্লিঙ্গিং অ্যাকশন নিয়ে দ্রুত উপরে উঠে আসছেন, শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন টি২০ লিগে সফল হচ্ছেন। আবু ধাবিতে টি১০ লিগেও খেলেন তিনি, সে সময়ে ওখানে হাজির ছিলেন সিএসকে-র সাপোর্ট স্টাফরা।
এখনকার সিএসকে বোলিং কোচ ডোয়েন ব্রাভোও ওই টি১০ লিগে খেলছিলেন। মোটামুটি সবাই একমত হন যে পাথিরানার ভবিষ্যৎ আছে। ২০২২ সালে অ্যাডাম মিলনে চোট পাওয়ার পরেই তাঁকে দলে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। ২০২২ সালে ট্রেনিং ক্যাম্পেই পাথিরানাকে প্রথম দেখেন ধোনি। প্রথম দর্শনে ভালো লাগলেও ক্যাপ্টেন কুল বুঝতে পারেন, একে নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়, বরং সময় নিয়ে, যত্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। এরপর কোচিং স্টাফের গ্রুমিংয়ে ঢুকে পড়েন লঙ্কান পেসার।
তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভালো পারফর্ম্যান্স করছেন ২০ বছরের পাথিরানা। এই মরশুমে আইপিএলে তো কামাল করছেন। সিএসকেতে তিনি অটোম্যাটিক চয়েস, ডেথ ওভারে কৃপণ বোলিং সঙ্গে উইকেট, আর কী চাই! তবে ধোনি সবসময় ভবিষ্যতেরটা ভেবে রাখেন। অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশনের জন্য বাড়তি চাপ পড়বে পাথিরানার শরীরে, চোট লাগতে পারে যখন তখন। সেই কারণেই তরতাজা থাকতে তাঁকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন ভারতের সফলতম অধিনায়ক, এমনকী ওয়ান ডে-ও যতটা সম্ভব এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ধোনি জানেন, পাথিরানা টি২০ ক্রিকেটের জন্য বহুমূল্য রত্ন।