ইপিএল চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি
সাড়ে ৯ মাস এক নম্বরে ছিল মিকেল আর্তেতার (Mikel Arteta) আর্সেনাল। প্রায় সবাই ভেবে নিয়েছিল, ১৯ বছর পর ইপিএল জিততে চলেছে তারা। কিন্তু মরশুমের শেষের দিকে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন বুকায়ো সাকারা (Bukayo Saka)। বিশেষ করে ওয়েস্ট হ্যাম, লিভারপুল এবং সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে পরপর তিনটে ম্যাচ ড্র করে বিপদে পড়ে যায় আর্সেনাল।
উল্টোদিকে পেপের সিটি কোনওরকম ভুলচুক করেনি। একের পর প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করে এগিয়ে যেতে থাকে। শনিবার আর্সেনালের খেলা একসঙ্গে বসেই দেখছিলেন সিটির ফুটবলাররা। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। রবিবার ম্যান সিটির ঘরের মাঠেই ট্রফি তুলে দেওয়া হবে কেভিন ডি ব্রুইনা (Kevib De Bruyne), এর্লিং হালান্ডদের (Erling Haaland) হাতে। ত্রিমুকুট বা ট্রেবল (Treble) জয়ের পথে প্রথম মাইলস্টোন স্পর্শ হল। এরপর ৩ জুন ম্যান ইউয়ের বিরুদ্ধে এফএ কাপ ফাইনাল এবং ১১ জুন ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জিতলেই দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে জিতবে সিটি। ১৯৯৮-৯৯ মরশুমে প্রথম এই রেকর্ড করে সেই ম্যান ইউ।
ম্যান সিটির এই সাফল্যের কাণ্ডারি প্রত্যেকেই। হালান্ড রেকর্ড সংখ্যক গোল করেছেন, ডি ব্রুইনা গোলের পাস বাড়িয়েছেন, এঁদের নাম বারবার সামনে আসলেও আসলে এই দলটাকে এমন এক সুতোয় বেঁধেছেন গুয়ার্দিওলা যে ছবির মতো সিস্টেমে খেলে তারা। ছন্দবদ্ধ ফুটবলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেখা গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ম্যাচটায়। এই সাফল্যের কৃতিত্ব গোলকিপার এডেরসন থেকে কাইল ওয়াকার রুবেন দিয়াজ, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, রদ্রি, ইলকায় গুন্দোয়ান, ডি ব্রুইনা, জ্যাক গ্রিলিশ, মাহরেজ, বার্নার্দো সিলভা, হালান্ড, জুলিয়ান আলভারেজ, ফিল ফোডেন সবার।