ওনার সঙ্গে কাজ করলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাব: সোহিনী গুহ রায়

Paramanik Akash
পুজোর সময় আমি ঘোরা ঘুরিটা খুব একটা পছন্দ করি না। আমার খুব একটা ভালো লাগে না, শুধু বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারা খাওয়া দাওয়া। একটু বেশি খাওয়া দাওয়া কারণ সারা বছর রুটিনে খাওয়া-দাওয়া করি। বিবিপি নিউজ-এর প্রতিনিধি রেশমা পারভিন-এর মুখোমুখি হয়ে এবছর পুজোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানালেন ময়ূরপঙ্খী খ্যাত সোহিনী গুহ রায়। কী বললেন সোহিনী জেনে নেওয়া যাক.....
প্রশ্নঃ এই পুজোয় প্ল্যান কি আছে?
সোহিনীঃ প্ল্যান বলতে,আমার প্রত্যেক বছর একই রকমই প্ল্যান থাকে।যেটা হচ্ছে আসলে আমি প্যান্ডেল হপিং টা করিনা, আমার প্যান্ডেল হপিং টা খুব একটা ভালো লাগেনা। আমার যেটা ভালো লাগে সেটা হচ্ছে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া এবং আড্ডা মারা। সেটাই করি যেমন আমি প্রত্যেক বছর কোনো পরিচালকের বাড়িতে যাই আড্ডা দিতে। ওই আর কি সেজেগুজে গিয়ে একটু খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডা।
প্রশ্নঃ এই পুজোয় স্পেশাল কি করছো?
সোহিনীঃ দেখো স্পেশাল কিছু বলতে সেরকম কিছুই না। আসলে আমি ঘোরা ঘুরিটা খুব একটা পছন্দ করি না। আমার খুব একটা ভালো লাগে না, শুধু বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারা খাওয়া দাওয়া। একটু বেশি খাওয়া দাওয়া কারণ সারা বছর রুটিনে খাওয়া-দাওয়া করি। পুজোর সময় সকালে লুচি তরকারি, বিকেলবেলা একটু ভুরিভোজ টাইপের কোনো ডায়েট থাকবে না।
প্রশ্নঃ এটা কবে থেকে শুরু পঞ্চমী থেকে নাকি তার আগে থেকে?
সোহিনীঃ ওটা মোটামুটি পঞ্চমী ষষ্ঠী থেকে ধরা যায়, কারণ পঞ্চমী,ষষ্ঠী থেকে আমরা পুজোটা ধরি।
প্রশ্নঃ পুজোর সময় কি কোনো ধারাবাহিকের শুটিং চলবে তোমার?
সোহিনীঃ না না পুজোর সময় একদম নয়, পুজোর কাজ ছুটি, ওই সময়টা বাড়িতে কাটানো।
প্রশ্নঃ এখন কোন সিরিয়ালে কাজ চলছে?
সোহিনীঃ এখন চলছে বলতে আমার জাস্ট কমপ্লিট হলো "ময়ূরপঙ্খী" শুটিং। ময়ূরপঙ্খী সিরিয়াল টা লাস্ট এক বছর ধরে চলছিল তো ওটা শেষ হল আর এখন আমি পুরোপুরি একটু ব্রেক  নেবো তারপর আবার কাজ শুরু করব।
প্রশ্নঃ আগামী দিনে কিসে কাজ করার ইচ্ছা আছে?
সোহিনীঃ অবশ্যই আমার ছবিতে কাজ করার ইচ্ছে আছে, তবে সেরকম যদি ভালো স্ক্রিপ্ট পাই বা বড়  জায়গা থেকে অফার আসে তো নিশ্চয়ই করব আর সব কাজই ভাল, তবে একটু ভাল কাজই করতে চাই।
প্রশ্নঃ আচ্ছা টলিউডের কোন অ্যাক্টরের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা আছে?
সোহিনীঃ আমি অবশ্যই বলবো কাজ করার থেকে বেশি যেটা হচ্ছে তিনি আমার ক্রাশ, মানে তিনি ভীষণ ভাবেই আমার ক্রাশ আর ওনাকে আমি সামনে থেকে দেখতে চাই, আর ওনাকে দেখার সৌভাগ্য আমার এখনো হয়নি! তিনি হচ্ছেন আবির চ্যাটার্জি।
প্রশ্নঃ আবির চাটার্জী?
সোহিনীঃ হ্যাঁ ভীষণভাবে। মানে ওনার সঙ্গে কাজ করাটা আমি তো ভাবতেই পারছিনা,তাহলে তো আমি বোধহয় অজ্ঞান হয়ে যাব। কিন্তু আমার সামনে থেকে দেখার ভীষণ ইচ্ছে আর ওনাকে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
প্রশ্নঃ আবিরের সম্ভবত একটা ছবি আসছে যেটা রিলিজ করছে এই পুজোতে সেটা কি দেখতে  যাওয়ার ইচ্ছে আছে ? মানে সেটা কি দেখতে যাবে?
সোহিনীঃ হ্যাঁ হ্যাঁ আমি ওনার প্রত্যেকটা মুভি দেখতে যাই এবং পারলে দু তিনবার করে দেখি।  ভালো লাগে,ওনার মধ্যে একটা ইনোসেন্ট ফেস, একটু অন্যরকম ব্যাপার আছে। একটু গাম্ভীর্য আছে একটু ইয়ার্কিও আছে,আবার ইনোসেন্ট ফেইস এই ব্যাপারটা আমার ভীষণ ভালো লাগে।
প্রশ্নঃ টলিউডের ক্রাশ তো আবির চ্যাটার্জি! বলিউডে কে?
সোহিনীঃ টলিউডে যেমন আবির চ্যাটার্জি খুব ইনোসেন্ট ফেইস চকলেট বয় টাইপের। তবে বলিউডে আবার ঠিক উল্টোটা। বলিউডে যে ক্রাশ, সে কিন্তু ভীষণ স্ট্রং রাফ অ্যান্ড টাফ ব্যাপার তার মধ্যে। তিনি হলেন রনবির সিং।
প্রশ্নঃ আচ্ছা রনবির সিং এর তো দীপিকা আছে?
সোহিনীঃ তাতে কি হয়েছে থাকতে পারে কিন্তু ক্রাশ তো ক্রাশ-ই হই। ক্রাশ নিয়ে কোন কথা হবে না।
প্রশ্নঃ আচ্ছা তাহলে কি রণবীর সিং-এর  মুভি দেখা হয়?
 সোহিনীঃ হ্যাঁ আমি ভীষণভাবে পছন্দ করি রনবির সিং কে। ওনার ডায়লগ ডেলিভারি থেকে শুরু করে সবকিছু একদম কিলার পারফরম্যান্স থাকে । মনে হয় যেন ওই ক্যারেক্টার টা শুধু ওনার জন্যই ।
প্রশ্নঃ ফ্যানদের উদ্দেশ্যে তুমি কি বলতে চাও?
সোহিনীঃ ফ্যানদের উদ্দেশ্যে এটাই বলব যে আমাকে এতদিন ধরে ভীষণ ভাবে ভালোবেসেছো। আমাদের শো টা সবাই দেখত এবং ভীষণ পছন্দ করত।  তার কারণ হচ্ছে আমাদের যিনি গল্পের লেখিকা "লিনা গঙ্গোপাধ্যায়" তিনি ভীষণভাবে সেলিব্রেটেড রাইটার এবং তিনি যে ধরনের গল্প লেখে, লোকে সেটার সঙ্গে রিলেট করতে পারে।
মানে আমাদের বাড়ির হাউস ওয়াইফ কাকিমারা মাসিরা ভীষণভাবে রিলেট করতে পারে এইজন্য আমি ভীষণভাবে ভালোবাসা পেয়েছি সবার কাছ থেকে। মানে আমি যে সিন গুলো করতাম সবাই দেখে ভাবতো এটাতো আমার সাথেও হয় মানে এই জিনিসটা সবাই নিজের সাথে রিলেট করতে পারতো বলেই ভীষণভাবে ভালোবাসাটা আমি পেয়েছি। প্রত্যেকে আমাকে চিনেছে এবং আশীর্বাদ করেছে । তো দর্শকের জন্য আমার এটাই বলার যে এতদিন ধরে যেভাবে ভালোবেসেছে আমাকে যেন পরবর্তীকালেও একই ভাবে ভালবাসে এবং আমি আরো ভালো করে কাজ করার চেষ্টা করব।
প্রশ্নঃ দশমী এবং বিজয়া দশমীতে কি প্ল্যান থাকছে?
সোহিনীঃ দশমী, বিজয়া দশমীতে আমার  কিছু প্ল্যান থাকে না যেহেতু আমি বেরোই না। খুব একটা পুজোর সময় তো আমার ওই বিদায় দেওয়াটা কোন সময়ই ভালো লাগেনা। আমি যাব  একটু মন্ডপে সকালবেলা যেহেতু সিঁদুরের খেলার ব্যাপারটা থাকে তোর সেই পার্ট টা হয়ে গেলে আমি বাড়ি চলে আছি। ঠাকুর চলে যাচ্ছে সেটা দেখতে আমার একদম ভালো লাগে না। মা যখন আসে তখন আমার খুব ভালোলাগে কিন্তু চলে যাচ্ছে সেটা দেখতে আমার খুব খারাপ লাগে তাই জন্য আমি সেটা দেখি না আমি বাড়ি চলে আসি।


Find Out More:

Related Articles: